মালিকরা শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে, কত প্রয়োজন হয় তাদেরঃ প্রধানমন্ত্রীকে গাজীপুরের এসপি
গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ফ্যাক্টরী মালিকদের অরাজকতার কথা বিস্তারিত জানিয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এরপরই গার্মেন্টসের কিছু নেতাদের সাথে তিনি বসবেন। উল্লেখ্য এই জেলায় তখন পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন সংক্রমণ ছিল ৯৭ জন। মোট আক্রান্ত ২৭৯ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন।
আজ ঢাকা বিভাগের চারটি জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের সাথে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের সময় গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কথা বলতে চান। ফ্লোর পেয়ে তিনি তুলে ধরেন কিভাবে বেতন না দিয়ে ফ্যাক্টরী মালিকরা শ্রমিকদের বাড়ি পাঠিয়েছেন আবার বেতন দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে জেলাকে ঝুকির মুখে ফেলেছেন। তিনি জানান পিপিই তৈরির কথা বলে গার্মেন্টস চালু করলেও আদতে মালিকরা অন্য কিছু বানাচ্ছেন৷ এক ফ্যাক্টরীরই ২৫ শ্রমিকের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি কোট করে তিনি কারখানা মালিকদের লালসার কথা বলেন এবং জনগণের সাথে তাদের প্রতারণার কথা উল্লেখ করে বলেন “ওরা ঠকাচ্ছে” “যেহেতু চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কার হয়নি তাই অন্যতম কৌশল লকডাউন নিশ্চিত করা” “মাঠপর্যায়ে বিশেষ করে গাজীপুরে আমরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি, প্রধানতম চ্যালেঞ্জ ফ্যাক্টরীগুলো খোলা থাকছে, কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না”
কত কষ্ট করে শ্রমিকরা চাকরি রক্ষার জন্য এতদূর হেটে এসেছে সেটা বলেন তিনি। তিনি কিছু মালিকদের সততার প্রশংসা করেন যারা শ্রমিকদের বেতন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, অনেক মালিক ২৪/২৫ তারিখে দুইমাসের বেতনও দিয়ে দিয়েছেন৷ “যারা বেতন দিবেন বলে এই অসহায় দরিদ্র শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসছেন এরপর বেতন দিতে পারছেন না, এটি লকডাউন নিশ্চিতে অনেক অনেক বড় অন্তরায় “অনেক ব্যবসায়ী কিন্তু সুযোগ নিচ্ছে ” “জনতার পুলিশ কাজ করছে আমরা কাজ করে যাবই যাব”
Facebook Comments